শিরোনাম
একাত্তরের বিরোধিতাকারী জামায়াত ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে: রিজভী দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে: জয়নুল আবদিন ফারুক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পক্ষ থেকে ‘জুলাই প্রক্লেইমেশন’ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ যশোরে চা দোকান থেকে তুলে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা রংপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার শেরপুরে বাস-সিএনজির সংঘর্ষে প্রাণ হারালেন ৬ জন, তিনজন নারী ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকদের বিক্ষোভ একাত্তরের বিরোধিতাকারীদের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের প্রচেষ্টা: রিজভী উত্তর গাজার একমাত্র হাসপাতালেও হামলা, আগুনে পুড়ে গেল চীনের নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্প: বাংলাদেশ ও ভারতকে বিপদে ফেলতে পারে

পাঁচ ব্যাংকের ১,২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতি: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ফাঁদ

Reporter Name
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪৩ বার

২০১৯ সালে, পাঁচটি ব্যাংক—যার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকও অন্তর্ভুক্ত—পুঁজিবাজারের একটি তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বেস্ট হোল্ডিংসে মোট ১ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে। তবে এই বিনিয়োগের ফলে ব্যাংকগুলো জনগণের আমানত থেকে প্রায় ১,২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই বিনিয়োগের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অন্যান্য সংস্থাগুলি নিয়ম ভেঙে সহায়তা প্রদান করেছে, এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বিভিন্ন সরকারি প্রতিবেদন থেকে।

পাঁচটি ব্যাংক, যথা সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক এবং এনসিসি ব্যাংক, মোট ২৭ কোটি ৩০ লাখ ৭৭ হাজার শেয়ার ক্রয় করে বেস্ট হোল্ডিংসে। এসব শেয়ারের দাম বর্তমানে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো প্রায় ১,২৩৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে, যা জনগণের আমানতের অপচয় হিসেবে গণ্য হচ্ছে।

তথ্য অনুযায়ী, বেস্ট হোল্ডিংসে বিনিয়োগের পেছনে রাজনৈতিক চাপ এবং ব্যাংকগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রভাব ছিল। ব্যাংকগুলো ক্ষতির পরেও বিনিয়োগ চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল, এমন দাবি উঠেছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ সূত্রে। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অন্যান্য সরকারি সংস্থা তাড়াতাড়ি এসব বিনিয়োগ অনুমোদন দিয়েছিল, ফলে ব্যাংকগুলোর জন্য এটি একটি ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্তে পরিণত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেস্ট হোল্ডিংসের আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। প্রতিষ্ঠানটির অনুমোদিত মূলধন ছিল মাত্র ৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, অথচ এর দায় ছিল প্রায় ২ হাজার ৫০ কোটি টাকা। এই ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের পরিণাম হলো ব্যাংকগুলোর বিশাল ক্ষতি, যার মধ্যে রূপালী ব্যাংক প্রায় ২০৯ কোটি টাকা এবং সোনালী ব্যাংক প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা হারিয়েছে।

এসব বিনিয়োগের পেছনে ক্ষমতাসীন সরকারের প্রভাব ও চাপ রয়েছে বলে অনেকেই দাবি করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক এর দায় এড়াতে পারে না, কারণ তারা বিনিয়োগের অনুমোদন দেয়ার সময় এসব ঝুঁকি সম্পর্কে জানত।

তবে ব্যাংকগুলো তাদের ক্ষতি কমানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে এবং এটি নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকও খতিয়ে দেখছে। যদি কোনো অনিয়ম পাওয়া যায়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved.
Developed by Raytahost